চাদের আলোয় আলোয়
আমার মাথাটা ঘোরে ।।
ঘুম আসেনা রাতে
আমি ঘুমাই না ভোরে ।।
একটার পর একটা
তামাক পাতা পোড়ে
ঘুম আসেনা রাতে
আমি ঘুমাই না ভোরে।।
তুমি যখন বেসেছিলে
বন্ধু আমায় ভালো
বিচার করো নাই আমি
শ্যামলা নাকি কালো...............
রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭
শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৭
শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০১৭
আজ তোর জন্মদিন
24 এ জুন
আজ তোর জন্মদিন। আমার উচিৎ ছিলো তোকে অনেক আগে ফোন করে উইশ করা। অনেকটা ইচ্ছে করেই করিনি।
তোর পাগলামি দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। তুই ফোন করে বলবি ওই কুত্তা আমাকে উইশ কিরিসনি কেন? উইশ কর বল শুভ জন্মদিন.......
কিন্তুু তুই দিন দিন বড় হয়ে যাচ্ছিস। সত্যি তোর বয়স বাড়ছে। সাথে তোর মনের বয়স বাড়ছে আর পাগলামি গুলো কমে যাচ্ছে।
তোর সাথে পরিচয় সেই 2015 সাল থেকে। পুচ্চি কিউট একটা মেয়ে। যার চোখে মুখে সবসময় দুষ্টামি আর হাসি লাগাই থাকে। মনে হয় বাচ্চাদের ভাবটা এখনো যায়নি তার। বেশির ভাগ সময় বাচ্চাদের মতো স্বভাব, বাচ্চাদের মতো জেদ, খামখেয়ালিপনা তার আছেই। সত্যি বলতে তোর এই পাগলামি গুলোই খুব ভালোলাগে। বয়স বাড়লেও তুই পাগলামি গুলো করা বাদ দিসনা তোর জন্মদিনে তোর কাছে আমার চাওয়া ..।
তুই যখন পাশে না থাকিস কেমন যেন ফাকাঁ ফাকাঁ লাগে। তোর পাগলামি গুলো খুব মিস করি। পাশে থাকিস সবসময় এভাবে।
“কতখানি পথ একসাথে হেঁটেছি?
আর কতখানি বাকি?
জানিস নাকি?
ভেবেছিস কখনো?
বৃথা মনে হচ্ছে এ
সব ভাবাভাবি...
তবে , কি দরকার
মিছে ভেবে?
শুরু যখন হয়েছে
পথ চলা
দেখা যাক নীলিমা
ছুঁতে পারি কিনা!
না পারি তবু রংধনু
আঁকি পথে।
পথের ধুলায়
আমাদের পায়ের ছাপ
যায় যদি মিলিয়ে
যাক। তবুও-
বাতাস রাখবে মনে
আমাদের বন্ধুত্বের
গল্প কথা খুব
গোপনে...”
দোয়া করি তোর জন্য তুই অনেক বড় হবি তবে লম্বায় না সন্মানে। জীবনে অনেক উন্নতি কর। তবে আজ কাল তুই পড়াশোনা একটুকুও করিস না। এমনে পড়লে তো তোর বিদেশে যাওয়ার সপ্ন পূরন হবে না। তাই ভালো করে পড়াশোনা কর না হলে তোরে 32 এর লেকের পচা পানিতে চুবানি খাওয়ামু ..........
শুভ পয়দা দিবস@ Afroze awal Linda prema
আজ তোর জন্মদিন। আমার উচিৎ ছিলো তোকে অনেক আগে ফোন করে উইশ করা। অনেকটা ইচ্ছে করেই করিনি।
তোর পাগলামি দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। তুই ফোন করে বলবি ওই কুত্তা আমাকে উইশ কিরিসনি কেন? উইশ কর বল শুভ জন্মদিন.......
কিন্তুু তুই দিন দিন বড় হয়ে যাচ্ছিস। সত্যি তোর বয়স বাড়ছে। সাথে তোর মনের বয়স বাড়ছে আর পাগলামি গুলো কমে যাচ্ছে।
তোর সাথে পরিচয় সেই 2015 সাল থেকে। পুচ্চি কিউট একটা মেয়ে। যার চোখে মুখে সবসময় দুষ্টামি আর হাসি লাগাই থাকে। মনে হয় বাচ্চাদের ভাবটা এখনো যায়নি তার। বেশির ভাগ সময় বাচ্চাদের মতো স্বভাব, বাচ্চাদের মতো জেদ, খামখেয়ালিপনা তার আছেই। সত্যি বলতে তোর এই পাগলামি গুলোই খুব ভালোলাগে। বয়স বাড়লেও তুই পাগলামি গুলো করা বাদ দিসনা তোর জন্মদিনে তোর কাছে আমার চাওয়া ..।
তুই যখন পাশে না থাকিস কেমন যেন ফাকাঁ ফাকাঁ লাগে। তোর পাগলামি গুলো খুব মিস করি। পাশে থাকিস সবসময় এভাবে।
“কতখানি পথ একসাথে হেঁটেছি?
আর কতখানি বাকি?
জানিস নাকি?
ভেবেছিস কখনো?
বৃথা মনে হচ্ছে এ
সব ভাবাভাবি...
তবে , কি দরকার
মিছে ভেবে?
শুরু যখন হয়েছে
পথ চলা
দেখা যাক নীলিমা
ছুঁতে পারি কিনা!
না পারি তবু রংধনু
আঁকি পথে।
পথের ধুলায়
আমাদের পায়ের ছাপ
যায় যদি মিলিয়ে
যাক। তবুও-
বাতাস রাখবে মনে
আমাদের বন্ধুত্বের
গল্প কথা খুব
গোপনে...”
দোয়া করি তোর জন্য তুই অনেক বড় হবি তবে লম্বায় না সন্মানে। জীবনে অনেক উন্নতি কর। তবে আজ কাল তুই পড়াশোনা একটুকুও করিস না। এমনে পড়লে তো তোর বিদেশে যাওয়ার সপ্ন পূরন হবে না। তাই ভালো করে পড়াশোনা কর না হলে তোরে 32 এর লেকের পচা পানিতে চুবানি খাওয়ামু ..........
শুভ পয়দা দিবস
সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭
একটা মেয়ের নিরাপত্তা কোথায় ???
একমাত্র মায়ের কোলে একটা মেয়ে নিরাপদ । কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মায়ের কোলে একটা মেয়ে কতোদিন থাকতে পারে ? খুব হলে তিন থেকে চার বছর । তারপর একটা মেয়ে কে সমাজে চলতে হয় ।
আমাদের সমাজে আমাদের চারপাশে কিছু কুরুচি পুন্য মানুশ বাস করে । যারা সমাজের কিট । এদের জন্য যতো সব সমস্যা ।
একটা মেয়ে ছোট থেকে বড় হতে তাদের অনেক কিছুর মুখোমুখি হতে হয় । এই সমাজ একটা মেয়েকে সহজে মেনে নেয়না । একটা মেয়ে ভাবতেই পারে তার পরিবার তার আত্মীয়য় কাছে সে নিরাপদ। কিন্তু সেখানেও সে নিরাপদ না । কথাটা খারাপ শুনালেও এটাই সত্যি যে একটা মেয়ে প্রথম তার আত্মীয়য় কাছেই সবথেকে খারাপ ব্যবহার টা পায় যা সে কখনো আশা করেনি ।
মেয়ে যদি শিক্ষিত না হয় তাহলে আমাদের সমাজে তার কোন মুল্য নাই কিন্তু যখন মেয়েটা শিক্ষার জন্য দিনে রাতে চলা লাগে তখন মেয়েটা খুব খারাপ । এমন কি শিক্ষকের কাছে একটা মেয়েকে লাঞ্চিত হতে হয় । যারা কিনা মানুশ তৈরির কারিগর । তাহলে কার কাছে একটা মেয়ের নিরাপত্তা ??
একটা মেয়ে যখন রাস্তা দিয়ে চলে তখন তাকে শুনতে হয় বাজে কথা । কিছু বখাটেদের শিকার হতে হয় । কিন্তু কেন ? একটা মেয়ের কি রাস্তায় চলার অধিকার নাই ??
মেয়ের চলার প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের এরকম হাজারো সমস্যার সম্মুখি হতে হয় ।
আমাদের সমাজের কিছু লোক আবার মেয়েদের দোষ দেয় । কেন মেয়েদের একা রাস্তায় চলা লাগবে ? কেন ্মেয়েদের এতো পড়াশুনা করা লাগবে ? কেন মেয়েদের রাতে ঘুরা ফেরা করা লাগবে ?
আমাদের সমাজ একটা শিক্ষিত মেয়ে চাই কিন্তু বাইরে যেতে দিবে না , বেশি পড়াশুনা করতে দিবে না আবার রাতে চলাফেরা করতে দিবে না তাহলে একটা মেয়ে কি করে শিক্ষিত হবে ??
অনেকে মেয়েদের পোশাক নিয়ে প্রশ্ন করেন আমি তাদের বলতে চাই নিজে আগে ঠিক হন । একটা মেয়ে রাস্তায় চললে কেন তাকে বাজে কথা বলতে হবে ,কেন তাকে টিস করা লাগবে ??
আমাদের সবারি ঘরে মা বোন আছে । আমরা তো তাদের কিছু বলিনা । প্রত্যেকটা মেয়েই তো কারো না কারো বোন । যদি নিজের মা বোন কে অন্য কেউ বাজে কথা বলতো তাহলে নিশ্চয় আপনি তাকে এমনি এমনি ছেড়ে দিতেন না । তাহলে অন্যের বোন কে কেন ??
আমরা কি পারিনা নিজেদের পরিবর্তন করতে ? আমরা কি পারিনা সমাজের কিট গুলোকে ছাটায় করতে ? একটা বোনের নিরাপত্তা দিতে ? প্রত্যেকটা মেয়েই তো কোন না কোন ভাইয়ের বোন । কেন পারিনা তাদের নিজেদের বোন ভাবতে ?আমরা কি পারিনা সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রে মেয়েদের নিরাপত্তা দিতে ??????????????????????
আমাদের সমাজে আমাদের চারপাশে কিছু কুরুচি পুন্য মানুশ বাস করে । যারা সমাজের কিট । এদের জন্য যতো সব সমস্যা ।
একটা মেয়ে ছোট থেকে বড় হতে তাদের অনেক কিছুর মুখোমুখি হতে হয় । এই সমাজ একটা মেয়েকে সহজে মেনে নেয়না । একটা মেয়ে ভাবতেই পারে তার পরিবার তার আত্মীয়য় কাছে সে নিরাপদ। কিন্তু সেখানেও সে নিরাপদ না । কথাটা খারাপ শুনালেও এটাই সত্যি যে একটা মেয়ে প্রথম তার আত্মীয়য় কাছেই সবথেকে খারাপ ব্যবহার টা পায় যা সে কখনো আশা করেনি ।
মেয়ে যদি শিক্ষিত না হয় তাহলে আমাদের সমাজে তার কোন মুল্য নাই কিন্তু যখন মেয়েটা শিক্ষার জন্য দিনে রাতে চলা লাগে তখন মেয়েটা খুব খারাপ । এমন কি শিক্ষকের কাছে একটা মেয়েকে লাঞ্চিত হতে হয় । যারা কিনা মানুশ তৈরির কারিগর । তাহলে কার কাছে একটা মেয়ের নিরাপত্তা ??
একটা মেয়ে যখন রাস্তা দিয়ে চলে তখন তাকে শুনতে হয় বাজে কথা । কিছু বখাটেদের শিকার হতে হয় । কিন্তু কেন ? একটা মেয়ের কি রাস্তায় চলার অধিকার নাই ??
মেয়ের চলার প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের এরকম হাজারো সমস্যার সম্মুখি হতে হয় ।
আমাদের সমাজের কিছু লোক আবার মেয়েদের দোষ দেয় । কেন মেয়েদের একা রাস্তায় চলা লাগবে ? কেন ্মেয়েদের এতো পড়াশুনা করা লাগবে ? কেন মেয়েদের রাতে ঘুরা ফেরা করা লাগবে ?
আমাদের সমাজ একটা শিক্ষিত মেয়ে চাই কিন্তু বাইরে যেতে দিবে না , বেশি পড়াশুনা করতে দিবে না আবার রাতে চলাফেরা করতে দিবে না তাহলে একটা মেয়ে কি করে শিক্ষিত হবে ??
অনেকে মেয়েদের পোশাক নিয়ে প্রশ্ন করেন আমি তাদের বলতে চাই নিজে আগে ঠিক হন । একটা মেয়ে রাস্তায় চললে কেন তাকে বাজে কথা বলতে হবে ,কেন তাকে টিস করা লাগবে ??
আমাদের সবারি ঘরে মা বোন আছে । আমরা তো তাদের কিছু বলিনা । প্রত্যেকটা মেয়েই তো কারো না কারো বোন । যদি নিজের মা বোন কে অন্য কেউ বাজে কথা বলতো তাহলে নিশ্চয় আপনি তাকে এমনি এমনি ছেড়ে দিতেন না । তাহলে অন্যের বোন কে কেন ??
আমরা কি পারিনা নিজেদের পরিবর্তন করতে ? আমরা কি পারিনা সমাজের কিট গুলোকে ছাটায় করতে ? একটা বোনের নিরাপত্তা দিতে ? প্রত্যেকটা মেয়েই তো কোন না কোন ভাইয়ের বোন । কেন পারিনা তাদের নিজেদের বোন ভাবতে ?আমরা কি পারিনা সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রে মেয়েদের নিরাপত্তা দিতে ??????????????????????
শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৭
বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৭
অসমাপ্ত গল্প
সময় সবসময় সবার সহায়ক হয়না । বেশীরভাগ ক্ষেত্রে বিপরীতে চলে । আর যদি সে হয় মধ্যবিত্ত তাহলে তো কথায় নাই ।
বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসলো রকি এখনো রেললাইনের পাশ দিয়ে হাঁটছে । তার মন খুব খারাপ । সপ্না এক কথা বলে দিয়েছে যে তার সাথে আর রিলেশন রাখবে না । চার বছরের সম্পর্ক ভেঙ্গে দিয়েছে ।বলেছে ফ্যামিলি তাদের এই সম্পর্ক কখন মেনে নিবে না । নিজের মনকে প্রশ্ন করছে নিজে নিজেই সপ্না তো ঠিকই বলেছে ।সম্পর্ক রেখেই বা কি লাভ । তাদের তো কোনদিন বিয়ে হবে না । সপ্না কোথায় বড়লোক বাবার এক মাত্র মেয়ে । আমার আমার বাবা সামান্য স্কুলের শিক্ষক । এই সব ভাবতে ভাবতে চারোদিকে অনেকটা অন্ধকার হয়ে আসছে । অনেকক্ষণ ধরে তার ফোন টা বেজে চলছে । সেদিকে তার কোন খেয়াল নাই । আরো কয়েক বার বাজার পর সে ফোন টা ধরলো । মার ফোন ।
কোথায় বাবা অনেক রাত হয়েছে কই তুই ...
এইতো রাস্তায় ......
তাড়াতাড়ি বাসায় আয়......
রকি জোরে জোরে হেটে বাসার দিকে এগিয়ে গেল ।
মা খেতে দেও ......
টেবিলে বস আমি দিচ্ছি ।
খওয়া শেষ করে নিজের রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো । আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছে কি করবে সে এখন । রুমটাও যেন আজকে খুব ছোট লাগছে তার । সবকিছু অসজ্য লাগছে তার । নিজেই নিজেকে অসজ্য মনে হচ্ছে । অনেক দুরে চলে যেতে ইচ্ছা করছে দুরে অনেক দুরে সবার থাকে দুরে । যেখানে কেউ থাকবে না । কিন্তু ইচ্ছা করলেই সবকিছু করা যায় না । তার ফ্যামিলি আছে দুইটা বোন বাবা মা । সবাই তার দিকে চেয়ে আছে । সবার দায়িত্ব তার উপর ।
যদিও তার কোন সেরকম সপ্ন নাই তবে কিছু একটা করবো সেই রকম চিন্তা ভাবনা । অনার্স শেষ । বাবা মা বাসা থেকে তাড়া দিছে কোন একটা চাকুরি করার জন্য । ছয় মাস পার হয়ে গেল এখনো কি করবে সেটাই ভেবে উঠতে পারেনি সে । বাসা থেকে চাপটা ইদানীং খুব বেড়ে গেছে ।
সকাল নায়টা । মার ডাকে ঘুম ভাঙ্গে রকির । আজ না তোর চাকুরির ইন্টার্ভিউ । টেবিলে নাস্তা আছে তাড়াতাড়ি খেয়ে যা ।
আজ তার ১৪তম ইন্টার্ভিউ । অনেকটা হাপাতে হাপাতে ইন্টার্ভিউ তে যায় রকি । অফিসে দাড়াতে না দাড়াতেই তার ডাক । পুরো শরীল ঘেমে গেছে তার । অনেক ক্ষণ ইন্টার্ভিউতে থাকা মানুশ দের সাথে কথা বলার পর তাদের প্রশ্ন কতো সেলারি নিবেন ???
রকি তো পুরাই আকাশ থেকে পড়লো যেন কি বলছে তারা সে কি সঠিক শুনছে ? অনেক ক্ষণ চুপ থাকার পর আবার সে শুনতে পেল কতো সেলারি নিবেন রকি সাহেব ??
২০০০০+
কাল থেকে জয়েন করেন ।
বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে মিষ্টি কিনে বাসায় গেল । বাসার সবাই খুব খুশী । কিন্তু সে ততোটা খুশী না । আর মাত্র পাঁচদিন পর সপ্নার বিয়ে । সপ্নার সাথে তার দেখা করার দরকার । বাসা থেকে বের হয়ে গেল রকি ।
ফোনটা বের করে সপ্নাকে একটা ফোন দিলো খুশীর খবর টা দিবে বলে । ওপার থেকে ভেসে আসলো ফোন দিয়েছ কেন ? তোমাকে না বলেছি আমাকে ফোন দিবে না । আমার বিয়ে । এক সাথে সব কথাগুলো বলে গেল সপ্না ।
আমি চাকুরি পেয়েছি বিকালে দেখা করতে পারবে ? রেললাইনের পাশে থাকবো এসো কিন্তু । মনে মনে রকি ভেবে রেখেছে সপ্নাকে সাথে নিয়ে সপ্নার বাবার কাছে গিয়ে তাদের বিয়ের কথা বলবে ।
বিকেলের অনেক আগেই রকি হাজির তার যে আর তর সইতেছে না । কখন আসবে সপ্না কি বলবে তাকে অনেক দিন পর দেখা এই সব কথা ভাবছে আর পাইচারি করছে । সন্ধ্যা গড়িয়ে এলো সপ্নার আসার কোন নাম নেই । অনেক রাতে রকি বাসায় ফিরলো । খেয়ে নিজের রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো । আর ভাবছে কেন সপ্না আসলোনা আজ ।ভাবতে ভাবতে কখন যে চোখে ঘুম আসে গেছে সে জানে না ।
মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গে রকির । অফিস যাবি না সময় তো হয়ে গেছে । খুব তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে অফিস চলে যায় রকি । এভাবে চলে কয়েক দিন ।
আজ সপ্নার বিয়ে । তার খুব ইচ্ছে একবার বধুর সাজে সপ্নাকে দেখবে সে । তাই অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ছুটি নিয়ে চলে আসে । চুপি চুপি সপ্নাদের বাসার দিকে যায় আর সপ্নাকে মন ভরে দেখা চলে আসে । রেললাইনের পাশে এসে বসে থাকে একা । কিছুক্ষণ পর সপ্নার বিয়ের গাড়ি তার পাশ দিয়ে চলে যায় আর সে একদৃষ্টিতে চেয়ে থাকে । চোখের দুইফোটা পানি তার অজান্তেই মাটিতে পরে যায় ।
অনেক অল্প সময়ের মধ্যে নিজের দক্ষতা আর সত্যতার জোরে অনেক উচ্চপদে চলে যায় রকি । এখন সে কোম্পানির সি ই ও ।তার কাঁধে এখন অনেক দায়িত্য ।
আজ সকাল সকাল অফিসে আসছে রকি । অনেক কাজ । বিকেলে আবার এক বিবাহ বার্ষিকীর পার্টি তে যাওয়া লাগবে তার অফিসের কলিকের । সোহেল তার নাম । ভালো । রকির খুব পছন্দের ছেলে । রকি নিজেই তাকে চাকুরি দিয়েছে ।
সন্ধার দিকে সবাই সোহেলের বাসায় আসে । পার্টি শুরু হয়ে গেছে । সোহেল তার দুই বছরের বাচ্চাকে কোলে করে নিয়ে আসে রকি সামনে এগিয়ে গিয়ে বাচ্চাটাকে কোলে তুলে নেয় । কিছুক্ষণ পর সোহের কণ্ঠে ডাক স্যার একটু এদিকে আসবেন প্লিজ ..
রকি পিছনে ঘুরে তাকাতেই সোহেল বলে স্যার এইয়ে আমার স্ত্রী । রকির তো চোখ ছানাপড়া । কাকে দেখছে সে । এতো তার সপ্নের সপ্না ।
রকি যেমন চেয়ে আছে সপ্নার দিকে সপ্নাও তেমন চেয়ে আছে রকির দিকে । সোহেল বলে চলে সপ্না শুনছো তোমাকে আমি বলেছিলাম না আমার স্যার এর কথা । স্যার এখনো বিয়ে করেনি । কোন এক মেয়েকে যেন স্যার ভালোবাসতো সে স্যার কে ছেরে চলে গেছে । অন্যজায়গায় বিয়ে করেছে । কি বোকা আর খারাপ মেয়েটা তাই না বল .........
বাচ্চার কথায় সবার ধ্যান ভাঙল । সোহেল সাহেব এবার আমি আসি রকি বলে বাচ্চাকে কোল থেকে নিচে নামালো ।
সপ্না বলে এখনি তো আসলেন একটু পরে যান .........
আমার শরিলটা ভালো না আমি চললাম । ভালো থেক এবার দেখা হবে এই বলে চলে গেল
সপ্না তার যাওয়ার পথের দিকে চেয়ে আছে ....................................অপলক দৃষ্টিতে ...
রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৭
পৃথিবীর সবথেকে বেশি দূরত্ব কি ???
পৃথিবীর সবথেকে বেশি দূরত্ব কোনটা তা কি তুমি জানো ? হয়তো তুমি উত্তর দিবে জন্ম থেকে মৃত্যু । উত্তরটা সঠিক না । সবথেকে দূরত্ব হচ্ছে আমি তোমার সামনে দাড়িয়ে আছি আর তুমি জানো না যে আমি তোমাকে কতোটা ভালোবাসি ।
আমি নিজে পূর্ণতা চাইনা । চাই তোমাকে পূর্ণ করতে ।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)